ঐতিহ্যমন্ডিত রবীন্দ্রনাথের কাচারীবাড়ি

প্রকাশঃ এপ্রিল ২০, ২০১৬ সময়ঃ ৮:১৯ অপরাহ্ণ.. সর্বশেষ সম্পাদনাঃ ৮:৩০ অপরাহ্ণ

নিজস্ব প্রতিবেদক

shahzadpur

সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে রবীন্দ্র স্মৃতি বিজরিত কাচারীবাড়ি। অষ্টাদশ শতাব্দীতে এটি ছিলো নীলকরদের কুঠি। এ কারণে এটি এখনোও কুঠিবাড়ি নামেই পরিচিত।

১৮৪০ সালে কবিগুরুর ঠাকুর দাদা প্রিন্স দ্বারকানাথ ঠাকুর নিলামে মাত্র ১৩ টাকা ১০ আনায় শাহ্জাদপুরের জমিদারী কিনে নেয়। এতে প্রায় ১০ বিঘা জমিসহ ৪ দশমিক ৬৮ একর জমির উপর নির্মিত এই কুঠিবাড়িটিও কবি পরিবারের হয়ে যায়।

বিভিন্ন তথ্যসূত্রে জানা যায়, ১৮৯০ সাল থেকে ১৮৯৭ সালের ফেব্রুয়ারী মাস পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর জমিদারি দেখাশোনার কাজে এখানে আসেন।

এখানকার নৈসর্গিক প্রকৃতি ও তার সৌন্দর্যের কারণে এই স্থানটি ছিলো কবির খুবই প্রিয়। যা, ছিন্নপত্রাবলিতে গভীর আবেগের সাথে স্মরণ করেছেন তিনি।

কুঠিবাড়ির সামনের দিকে প্রধান ফটক। লোহার শিক আর মাঝে মাঝে ইটের থামের ঘেরা বাড়িটির সামনের অংশ। এর দক্ষিণ দিকে ছিলো একটি বাগান, যা এখন আর নেই। এই বাড়ির সামনে দিয়েই করতোয়া নদীর একটি শাখা নদী বহমান ছিলো। এটি দেখেই কবি লিখেছিলেন, ‘‘ আমাদের ছোট নদী চলে বাঁকে বাঁকে, বৈশাখ মাসে তার হাঁটু জল থাকে। ’’
ss
হলুদ রঙ্গের এই দ্বিতল পাকা ভবনের সঙ্গে রয়েছে রবীন্দ্রনাথের জীবনের নানা স্মৃতিচিহ্ন। ১৯৪১ সালে কবির মৃত্যুর পর, অযত্ন-অবহেলায় নষ্ট হতে থাকে এই বাড়িটি। এটি রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর এর। এই ভবনটিকে ঘোষণা করা হয় রবীন্দ্র স্মৃতি জাদুঘর হিসেবে এবং এর চত্বরে নির্মাণ করা হয় রবীন্দ্র অডিটোরিয়াম।

পারিবারিক ছবি এছাড়াও এই জাদুঘরে রয়েছে কবির নোবেল প্রাপ্তি, পান্ডুলিপির উপর তার চিত্রাঙ্কন অনুশীলনসহ দুর্লভ বিভিন্ন ছবি। রয়েছে কবির ব্যবহৃত খাট, সোফা, আলনাসহ ব্রোঞ্জ নির্মিত বিভিন্ন আসবাবপত্র। যা আকৃষ্ট করছে এখানে আগত দর্শনার্থীদের।

ইতিহাস ও ঐতিহ্যমন্ডিত রবীন্দ্রনাথের এই কাচারীবাড়ি বাংলা, বাঙ্গালী, বাংলা ভাষা ও জাতীয় চেতনার ঐক্যতান বহন করে চলেছে । কালের স্বাক্ষী হিসেবে এই সবই রয়ে যাবে যুগ-যুগান্তরে।

প্রতিক্ষণ/এডি/এস আর এস

আরো সংবাদঃ

মন্তব্য করুনঃ

পাঠকের মন্তব্য



আর্কাইভ

April 2024
S S M T W T F
 12345
6789101112
13141516171819
20212223242526
27282930  
20G